বিড়ালের বংশগতি বা জেনেটিক্স তার শারীরিক বৈশিষ্ট্য, স্বভাব, এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিড়ালের বংশগতি নির্ধারণে প্রধানত দুইটি বিষয় বিবেচনা করা হয়: প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং প্রজনন প্রক্রিয়া। প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন পরিবেশে বসবাসরত বিড়ালদের মধ্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, যেমন লোমের দৈর্ঘ্য, চোখের রং, এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্য।
বিড়ালের বংশগতি নিয়ন্ত্রণকারী প্রধান উপাদান হলো ডিএনএ। বিড়ালের ডিএনএতে ১৯টি জোড়া ক্রোমোসোম থাকে, যেখানে লক্ষাধিক জিন থাকে যা তার শারীরিক গঠন ও আচরণ নির্ধারণ করে। প্রজননের সময় মা এবং বাবা বিড়াল উভয়েই তাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করে।
নির্বাচিত প্রজননের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের বিড়াল তৈরি করা হয়, যেমন পার্সিয়ান, বাঙ্গাল, সিয়ামিজ ইত্যাদি। প্রত্যেক জাতের বিড়ালের কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক বৈশিষ্ট্য এবং স্বভাব থাকে, যা তাদের বংশগতির ওপর নির্ভর করে।
বংশগতির মাধ্যমে কিছু জেনেটিক রোগও বিড়ালের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে, যেমন হাইপারট্রফিক কার্ডিওমাইওপ্যাথি বা কিডনির সমস্যা। তাই প্রজননের সময় বংশগত রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হয়।
বিড়ালের বংশগতি বুঝতে পারা তাদের সঠিক যত্ন এবং স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে।