বৈদেশিক বিনিয়োগ হলো একটি দেশের বিনিয়োগকারীদের দ্বারা অন্য একটি দেশে অর্থ, সম্পদ বা প্রযুক্তির বিনিয়োগ। এটি আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক হয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ দুই ধরনের: সরাসরি বিনিয়োগ এবং পরোক্ষ বিনিয়োগ ।
সরাসরি বিনিয়োগ তখন ঘটে যখন একটি কোম্পানি বিদেশে সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসা স্থাপন করে অথবা একটি বিদেশি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী দেশের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরোক্ষ বিনিয়োগ হলো স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগ, যেখানে বিনিয়োগকারী বিদেশি শেয়ার বা বন্ডে বিনিয়োগ করে। এটি সাধারণত বাজারের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে এবং বিনিয়োগকারী কম সময়ের মধ্যে উচ্চ লাভের আশায় থাকে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশগুলোর জন্য পুঁজির প্রবাহ বৃদ্ধি, প্রযুক্তির স্থানান্তর, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে। তবে, এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক নীতির ওপর কিছু প্রভাবও পড়তে পারে, যেমন স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা।