এপ্রিল মাস। গ্রীষ্মের তাপে পুড়ছে প্রকৃতি। আমাদের দেশে তখন বিভিন্ন রঙের ফুল আশীর্বাদস্বরূপ দেখা যায়। তার মধ্যে অনন্য কৃষ্ণচূড়া। এ সময় কৃষ্ণচূড়ার বিশাল গাছে ঝলমলে লাল ফুল দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়ার দিকে যখনি তাকাবেন প্রতিবারই মনকে আঁকড়ে ধরবে।
কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম গুলমোহর এটা খুব কম মানুষই জানেন, কিন্তু কৃষ্ণচূড়া চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এপ্রিলে কৃষ্ণচূড়ার সময় তখন চারিদিক লাল লাল। এই লালের সমারোহ কৃষ্ণচূড়ার মহিমা।
দেখুন প্রকৃতির খেলা, যেখানে রক্ত লাল পলাশ আর মন্দির ফুটেছে কদিন আগে। কিন্তু তাদের ক্ষমতা শেষ হওয়ার আগেই সেই লাল রং নিয়ে হাজির হয় কৃষ্ণচূড়া। তবে কৃষ্ণচূড়া শুধু লাল রঙের নয়, প্রধানত লাল, কমলা, ও হলুদ রঙের হয়।
অনেক কবি-সাহিত্যিক ফুলকে স্বাধীনতার চেতনা ও রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। গ্রীষ্মের রাজা কৃষ্ণচূড়া শুধু কবিদেরই নয়, শ্রীমঙ্গলের পথচারী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের ফুলপ্রেমীদেরও বিমোহিত করেছে। বর্ণ, রূপ, উজ্জ্বলতা এবং লাবণ্য হয়তো কোনো কিছুই কৃষ্ণচূড়ার সমান নয়।