সুন্দরবনের হাহাকার: সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশ বিপন্ন

সাতক্ষীরা জেলায় উন্নয়নের ধীর গতি

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এই বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটি জীববৈচিত্র্যের এক অসাধারণ ভান্ডার। কিন্তু দিন দিন সুন্দরবন ধ্বংসের হার বাড়ছে, যা সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশ ও অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে।

 

সুন্দরবনের বেপরোয়া চাঁদা চাষ বন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। চাঁদা চাষের জন্য বন কেটে ফেলা হচ্ছে, যার ফলে জীববৈচিত্র্য হারাচ্ছে এবং ভূমি ক্ষয় হচ্ছে। চিতল চাষের জন্য সুন্দরবনের জঙ্গল কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল হারাতে হচ্ছে এবং জলীয় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলায় শিল্পায়নের হার বাড়ার সাথে সাথে বর্জ্য পদার্থ সুন্দরবনে ফেলা হচ্ছে, যা বনের পরিবেশকে প্রভাবিত করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

সুন্দরবন হারালে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল নষ্ট হবে। সুন্দরবন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করার একটি প্রাকৃতিক বাধা। বন ধ্বংস হলে এই বাধাটি দুর্বল হবে। সুন্দরবন বন্যা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন ধ্বংস হলে বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যাবে। পর্যটন, মৎস্যচাষ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সুন্দরবন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন ধ্বংস হলে এই ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 

সুন্দরবন বাঁচাতে সবার যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারকে সুন্দরবন সংরক্ষণে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। স্থানীয় জনগণকে সুন্দরবন সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। সুন্দরবন নির্ভর জনগণের জন্য বিকল্প জীবিকা সৃষ্টি করা হবে। সুন্দরবন সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে।


Adeel Hossain

242 ブログ 投稿

コメント