অপ্রত্যাশিত ইসলামিক গল্প

সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফাতেমার মনে পড়ে গেল আজকে ক্লাসের এসাইনমেন্ট কমপ্লিট

সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফাতেমার মনে পড়ে গেল আজকে ক্লাসের এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করা হয় নি। এটা মনে পড়ার সাথে সাথে তাঁর মন ভিষণ খারাপ হয়েছিল। কার ভালো লাগবে। এমনিতো রোজার মাস আরো এত এত এসাইনমেন্ট। যদি স্কুলের মত ভার্সিটি ও বন্ধ থাকতো, তাহলে কতই না ভালো হত।

 

ফাতেমা ভার্সিটির হোস্টেলে থাকে। সারারাত কোরআন তেলওয়াত করে তার চোখ এখন ঘুমে ক্লান্ত। ভাগ্যিস রুমমেটরা সবাই বাড়ি চলে গেছে তাই সে সারারাত কোরআন তেলওয়াত করতে পেরেছে।

 

এসব ভাবতে ভাবতে ফাতিমা ফ্রেশ হয়ে এসাইনমেন্ট করতে বসে গেল। এক ঘন্টার মধ্যে সে এসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে পেলে এবং ক্লাসের জন্য বাহিরে বেরিয়ে আসে।

 

এখন রিক্সা ডাকতে গিয়ে ভাবলো “আচ্চা দেখি কত টাকা আছে” মাসের শেষে এমনিতেই হাত খরচের টাকা কম থাকে। অর্থাৎ যে টাকা আছে তা দিয় ফাতেমা এখন রিক্সায় গেলে আসার সময় হেঁটে আসতে হবে। আসার সময় আছরের সময় হবে তাএ সে সময় হাঁটতে ভালো লাগবে না তাই সে এখন হেঁটে যাবে।

 

ক্লাস শেষে স্যার এক বস্তা শিট দিয়ে বলল ফটোকপি করতে। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো ঘাতেমার।কি দরকার ছিলো এত্তোগুলা শিট দেয়ার!শিটই যখন দিবে বই কেন কিনালো শুধু শুধু!

 

এখন শিট ফটোকপি করলে হোস্টেলে আবার হেটে ফিরতে হবে আর ইফতার কিনার টাকাও তো থাকবে না!তাও শিট তো ফটোকপি করতেই হবে আর তো কোনো উপায়ও নেই।সারাদিন শুধু এএটাই ভাবলো হেটে নাহয় যাওয়াই যাবে কিন্তু ইফতার করবে কি!

 

যাইহোক ফাতেমা সব ক্লাস শেষ করে হোস্টেলে আসল। ফ্রেশ হতে যাবে এমন সময় তনুশ্রী এসে বলল আপু আজকে জিলাপি কিনছি, তুমি জিলাপি পছন্দ কর তাই তোমাকে দুটো জিলাপি দিলাম। ফাতেমা খুশি হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হল।

 

বের হতেনা হতে শুনে বাড়িওয়ালা খালার আগুন জরানো চেচামেচি। “কোইগো সবাই ইফতারির সময় হয়ে গেছে এখনো অনেক মেয়ে ইফতারি নিলো না যে ”

 

একথা বলে চেচামেচি করছে বাড়িওয়ালা খালা।

 

ফাতেমা : গত তিন বছর ধরে এই হোস্টেলেই থাকি কই কোন দিন ওতো একটা খেজুর ও দেয়নি কাউকে। আজকে হঠাৎ। মনের কৌতুহলবশত ফাতেমা নিচে নেমে আসল এবং দেখল সত্যি খালা ইফতার বিতরন করছে। এই সুযোগে হিন্দু মেয়েরাও পেট ভরে ইফতার নিচ্চে।


Rx Munna

447 Blog postovi

Komentari